সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

বিস্যুতবারের গঞ্জ


আমার কাছে আর কোনো গল্প নেই
স্বপ্নময় কোনও রাতদুপুরে শিথান জুড়ে আনাগোনা ভুলে গেছে পদ্যেরা
ঘুম নেমে আসে – ঘুম -  চাঁদপাড়া ভেজা বাওরের দেশে ঘুম নামে
বিচ্ছেদের মত নিস্তব্ধ -
হীনতা -
নীলকণ্ঠ পাখি এক – মৃত
কাফনের সফেদ মায়া ;
তোমায় শুধু ছুঁতে চেয়েছি ।
গৌড়ের চেয়েও প্রবীণতর তরাইয়ে প্রথম মুথোঘাসের জন্মলগ্ন
আরও আদিকাল ধরে হেলেঞ্চার বনে ওম - অনন্ত রাত্তির
যুবতির নিদ্রাহীন চোখ কালিসিটে,
তার গাঢ় নিঃশ্বাসের ভাপ জমে সারাগ্রাম হেলেঞ্চার বনে ;

ভাঙা ভাঙা হাট , ফিরিঙ্গীডাঙ্গা-শালবাড়ি
সমস্ত শহর ছারখার ঘরমুখো পলাত্বকা জনতা আমার বিস্যুতবারের গঞ্জ

দূর দেশ রেলগাড়ি চলে – মশাগ্রাম ,
বারসইয়ের দীর্ঘতম বাঁক ঘুমের ঘোরে কতক্ষণ বহুক্ষণ পেছন পেছন
বেহেশতের শ্রাবণ মাসে আমন ধানের গন্ধভরা অতিবিস্মৃত গাঁয়ে
বয়স্ক প্রেমিকের তোরঙ খোলার মত
গভীর আবেশে জানালায় উঁকি অহরহ,
মহাকাব্য-প্রাচীন একটা শিশু হামাগুড়ি দেয় আলপথে
থমথমে মুখ দীর্ঘ খ্রিষ্টপূর্ব –
অবার্চীন মাঝরাতে মশাল জ্বালিয়ে সমস্ত দিনাজপুর দহলায় রূপচাঁদা খোঁজে ;
মছলন্দপুর ঘাটে নৌকার খোলে মাছের ঘ্রাণ ভরে – স্যাঁতস্যাঁতে – গাঢ় ,
শেষরাতের স্টিমার শহর পাড়ি দেবে তারপর ,
জমে যাওয়া মৃত উজ্জ্বল চোখ, মৃত মাছের নশ্বরতা বেচে
আমার কাছে আর কোনো গল্প নেই জয়ী -
গত শতাব্দী তার আগের শতাব্দী আরও কোন পুরাতন দিনে
চৈত্রের শিমুলতুলো উড়িয়েছি শুধু – ফ্যাকাশে কথাভাষাহীন ।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন