দুন্দুলের পাতার ভিতর যত ইতিহাস লেখা যায়
তার চেয়েও ঢের বছরের কথা ঝরে পরে আছে
আকন্দের ঝোপে - শিরিষতলা - কাঠগোলাপের বাকলে ;
সারাটা পৌষালী দুপুর উঠোনে পায়রার দল
ধান খোটে - পাঁকশালে শিলনোড়ার শব্দময়
আম্মুর হাতের তালুতে মশলার গন্ধভরা
উত্তুরে হওয়া কবেকার জাতাকলে
সোনামুগডাল ভাঙ্গে - অণুগল্প শোনায় ;
আরেকটা দশক -তারপর আরো বছর কুড়ি
গৃহস্থের স্বচ্ছলতা বয়ে ঠাম্মার যৌতুকের মাকড়ি - পেতলের বাটি - পানের বড়জ
সব্জিক্ষেত ভাগ হয়ে গেল
তিনপ্রানির ফ্ল্যাটতলায় নতুন গাড়ি এলে যে মেজাজে ফুরফুরে হাওয়া বয়
সেই একই অভিপ্রায় - সারাগ্রাম শাপলার ফুল - তেজপাতা - ধানিলংকার চাষ করে
বড় হয়ে টাকা ফলাবে - টইটুম্বুর সংসার যারতার !
বাড়ন্ত একান্নবর্তী - কবেকার পুরাতন ; ভেঙ্গে গেছে।
নিজের নিজের আখের গোছাতে - দুচোখে দোতলা বাড়ির স্বপ্ন
জৈষ্ঠ মাসের বষ্টুমি আর কক্ষনো গান গাইতে আসেনি
ভিড়ার ধোঁয়া দিগন্ত ছুঁয়ে এলে শুকতারার আলো ম্লান - আরও ম্লানতর
বহুজাতিক ধান্দাবাজের কানে রাতপাখি থেকে গেছে শুধুই রাতজাগা পাখি হয়ে
তোমারও মনের মত কোনো একাকিত্বে
ধনতান্ত্রিক আদরেরা
বারবার বহুজাতিক জয়েন্ট ভেঞ্চার প্রেম হয়েছে কি জানা নেই !
ভালো থাক খাপু পাখির গান
আবার কোনো বিকেলে নগ্ন পায়ে
পশ্চিমের মোথা ঘাসের মাঠে তুমি দাঁড়ালে
আমি শিশ্নের অভিশাপ ছাড়াই খুশি হব জেনো
"একদিন যে দোতলা বাড়ির স্বপ্ন দেখেছি , সেই বাড়িটাকেই বোমা মেরে উড়িয়ে দিতে চাই। "
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন