রবিবার, ১৭ মে, ২০১৫

আশমা পারভীনের চিঠি


এইখানে হলুদরঙ্গা মেঘের মাঠে ময় ,
বিটলফুলের ঘ্রাণে সারাগ্রাম ভরে গেলে 
সন্ধ্যেবেলার উজান নদী নয় ,
পৃথিবীর দুমকা ফুলের মরশুমে 
হাত ধরা যায় যখন - কথাভাষাহীন 
অস্ফুট শিশুর হাঁটতে শেখার মত
সত্যিকারের মনে রাখা যাবে !
গৃহস্থ্য ঘুমিয়ে গেলে বেড়াল ডাকে  ভাতঘুমের দেশে মধ্যাহ্নে ;
আলোচালের  গুড়ো মাখা হাতে যদি ভাবো স্মৃতি আছে  
তবে শালকুসুম নই , 
নই স্তরিত বসন্তের আমলকিবন ;
সন্ধ্যাতারার কোনো নিশ্চুপ অন্ধকারে 
আমার চুলের মতন রেশমি সুবাস সত্যি নামেনি।
সদ্যজাগা , ঘুমভাঙ্গা একবিছানায় যেমন চেয়েছি তোমায় 
বয়স্ক  বেগুনীর ঘ্রাণ - ছাদে শুকোনো আচারের ডিবে ছাপিয়ে 
তবুও যদি চাক্ষুষ কিছু স্পর্শকাতরতা 
অতর্কিতে গুনগুন করা গান হয়ে থাকে , 
জেনো প্রাপ্তি কিছুটা তবু ;
চৌকাঠ পেরিয়ে নির্বাসনের দিন 
ভেবেছি এইবারে ভীড় ভেঙ্গে কেউ এসে বলবে  কেমন আছি 
নিকোনো উঠোন পার হয়ে আদর বন - দোর্গাবল্লীর ক্ষেত 
আশমান ফুরিয়ে আরো দূরে হারিয়ে গেলে 
কারো চিন্তা হবে দিনান্তে ;
যেখানে নীল জলে হাঁটু ডুবিয়ে থাকা যায়  অফুরাণ-
সাঁঝের বেলা কেউ পাশে বসে জানতে চাইবে 
আর কতদিন এইমত 
শুকতারা দেখে দেখে চোখে কালি ফেলা ! 

আরেকটা বদলের গল্প 
ভেঙ্গে ভেঙ্গে যাওয়া দেশ - কাল 
তোমার আমার মাঝের ক্রমঃবর্ধমান দূর্ভেদ্যতা তোমারই থাক ;
কয়েক দশক চরে বেড়াব নিরুদ্দেশ 
তারপর দোরে এসে একদিন বলে দেব ওইখানে তোমার ঘাড়ের তলার আঁচিল আমার ,
বাড়ন্ত যুবকের শক্ত হাতে নিখোঁজ শিশুর আলুথালু আঙ্গুল লুকোনো বহুকাল 
সেসব ছুঁয়ে দেখব আরেকবার । 

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন