বিটলফুলের ঘ্রাণে সারাগ্রাম ভরে গেলে
সন্ধ্যেবেলার উজান নদী নয় ,
পৃথিবীর দুমকা ফুলের মরশুমে
হাত ধরা যায় যখন - কথাভাষাহীন
অস্ফুট শিশুর হাঁটতে শেখার মত
সত্যিকারের মনে রাখা যাবে !
গৃহস্থ্য ঘুমিয়ে গেলে বেড়াল ডাকে ভাতঘুমের দেশে মধ্যাহ্নে ;
আলোচালের গুড়ো মাখা হাতে যদি ভাবো স্মৃতি আছে
তবে শালকুসুম নই ,
নই স্তরিত বসন্তের আমলকিবন ;
সন্ধ্যাতারার কোনো নিশ্চুপ অন্ধকারে
আমার চুলের মতন রেশমি সুবাস সত্যি নামেনি।
সদ্যজাগা , ঘুমভাঙ্গা একবিছানায় যেমন চেয়েছি তোমায়
বয়স্ক বেগুনীর ঘ্রাণ - ছাদে শুকোনো আচারের ডিবে ছাপিয়ে
তবুও যদি চাক্ষুষ কিছু স্পর্শকাতরতা
অতর্কিতে গুনগুন করা গান হয়ে থাকে ,
জেনো প্রাপ্তি কিছুটা তবু ;
চৌকাঠ পেরিয়ে নির্বাসনের দিন
ভেবেছি এইবারে ভীড় ভেঙ্গে কেউ এসে বলবে কেমন আছি
নিকোনো উঠোন পার হয়ে আদর বন - দোর্গাবল্লীর ক্ষেত
আশমান ফুরিয়ে আরো দূরে হারিয়ে গেলে
কারো চিন্তা হবে দিনান্তে ;
যেখানে নীল জলে হাঁটু ডুবিয়ে থাকা যায় অফুরাণ-
সাঁঝের বেলা কেউ পাশে বসে জানতে চাইবে
আর কতদিন এইমত
শুকতারা দেখে দেখে চোখে কালি ফেলা !
আরেকটা বদলের গল্প
ভেঙ্গে ভেঙ্গে যাওয়া দেশ - কাল
তোমার আমার মাঝের ক্রমঃবর্ধমান দূর্ভেদ্যতা তোমারই থাক ;
কয়েক দশক চরে বেড়াব নিরুদ্দেশ
তারপর দোরে এসে একদিন বলে দেব ওইখানে তোমার ঘাড়ের তলার আঁচিল আমার ,
বাড়ন্ত যুবকের শক্ত হাতে নিখোঁজ শিশুর আলুথালু আঙ্গুল লুকোনো বহুকাল
সেসব ছুঁয়ে দেখব আরেকবার ।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন